ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির যাত্রী ছাউনির কোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল একটি রিকশা। অনেকেই ভেবেছিলেন, রিকশাচালক হয়তো একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন—দিনভর ক্লান্তি তো চাট্টিখানি কথা নয়!
বিকেলের দিকে এক পথচারী তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখেছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পর আবার যখন তিনি একই পথে ফিরছিলেন, তখনো চালক একইভাবে বসে আছেন। তবে এবার কিছু একটা অস্বাভাবিক মনে হলো।
সন্দেহ হওয়ায় তিনি চালকের শরীরে হাত রাখেন। তখনই বোঝা গেল—এটা আর ঘুম নয়। তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে।
রিকশার ওপরেই তার মৃত্যু হয়েছে—নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গভাবে। সম্ভবত স্ট্রোক করে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন তিনি। না ছিল কোনো শব্দ, না ছিল কোনো আর্তনাদ—শুধুই একটুকরো নিঃশব্দ বিদায়।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম মরদেহের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এখনো তার পরিচয় জানা যায়নি।
মানুষের জীবন কতটাই না ক্ষণিক, কতটা অনিশ্চিত! হয়তো তিনি শুধু একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নিয়তি তাকে চির বিশ্রামের দেশে পাঠিয়ে দিলো।
আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।
দয়া করে এই পোস্টটি শেয়ার করুন—হয়তো খবরটি তার কোনো স্বজনের কাছে পৌঁছে যাবে….
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন